ডায়াবেটিসে করলার চা

ডায়াবেটিস ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে করলার চা খেতে পারেন, কেননা এই তেতো চা রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।করলার পাতা, বীজ বা ফল ব্যবহার করে এই চা তৈরি করা হয়ে থাকে।
আসুন প্রথমে জেনে নেই কিভাবে তৈরি করবেন এই করলার চাঃ
১। কিছু পরিমাণ আগে থেকেই শুকনো বা তাজা করলার টুকরো নিন, সঙ্গে পানি ও মিষ্টির জন্য মধু নিন। করলাগাছের পাতাও ব্যবহার করা যায়। তবে করলা সহজলভ্য তাই ব্যবহার করুন।
২। পানি ফুটিয়ে নিন। তার মধ্যে শুকনো করলার টুকরো দিয়ে ১০ মিনিট মাঝারি আঁচে ফোটান যাতে করলার সব পুষ্টিদ্রব্য পানিতে মিশে যায়। আঁচ থেকে নামিয়ে আরও কিছুক্ষণ ঢেকে রাখুন।
৩। এর পর কাপে চা ছেঁকে নিন এবং মিষ্টির জন্য মধু মেশান। আপনার করলার চা তৈরি। তবে রক্তে সুগার নিয়ন্ত্রণে এই চা খেলে মিষ্টি ব্যবহার করবেন না।
এবার আসুন জেনে নেওয়া যাক ডায়াবেটিসে করলার চায়ের পুষ্টিগুণঃ
১. প্রাচীনকাল থেকেই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে করলার ব্যবহার হয়ে আসছে। করলা চা রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
২. এই চা রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে শরীর সুস্থ রাখে।
৩. লিভার পরিষ্কার রাখে, ফলে বদহজম রোধ করে।
৪. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এই চা। এতে থাকা ভিটামিন সি যে কোনো ইনফেকশনের হাত থেকে রক্ষা করে। এ ছাড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
৫. করলা চায়ে উপস্থিত ভিটামিন 'এ' চোখ ভালো রাখে।
হাইপোগ্লাইসেমিয়া রোগীর ক্ষেত্রে করলার কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। তাই করলার চা আপনার প্রতিদিনের ডায়েটে ব্যবহার করার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।